
শিরোনামঃ নীলিকা
গীতিকবিতাঃ তপন
কথাঃ তপন
সুরঃ মিশু খান
আবৃতিঃ জিল্লুর রহমান সোহাগ
কন্ঠঃ মিশু খান
ব্যান্ডঃ শহরতলী
অ্যালবামঃ অপর পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য
একটু পরে বইবে নদী, কপোল বেয়ে;
জমাট শোকের একলা পাহাড়, বুক চিরে উঠবে নেয়ে।
গল্পকথন:
টিএসসি’র গেটে ছোট্ট বটগাছটার নিচে তুমি, আশেপাশে অনেক বন্ধু, হাসি-তামাশা! আমি রাজুভাস্কর্যের সামনে, দূর থেকে তোমার উচ্ছলতা উপভোগ করছি। রাস্তা কি পার হবো? না থাক; কলাভবন থেকে তোমার পিছুপিছু আসলাম, হাতে একটা গোলাপ; ইতস্তত পদচারনার মতই, দুরুদুরু বুকটা বিব্রত; একবার আমার দিকে তাকালেও না, ফুলটাও হাত বদল হলো না। এত কাছ থেকেও পরিষ্কার আকাশের রংধনুর মত আমার ভালোবাসা; তুমি দেখলেনা…
গীতিকবিতা:
নীলিকার নয়নে, কতো কথার আয়োজনে,
ঝাপসা আবেগ ডানা ঝাপটে গেলো।
কোথাকার কোন মেকি হাসি,
তোমার হৃদয় কেড়ে নিলো।।
যতো দুরে যাক উড়ে, ফানুসের আভা;
চোখে পড়ে ঠিকই, পায়না বাঁধা।
আগুনপাখি ঠিকই বুকের পাশে,
পায়নাকো আঁচ কেউ, ফিরে থাকে।।
একচোখা দৃষ্টি চমক খোঁজে…
নীলিকার নয়নে, কতো কথার আয়োজনে,
ঝাপসা আবেগ ডানা ঝাপটে গেলো।
কোথাকার কোন মেকি হাসি,
তোমার হৃদয় কেড়ে নিলো।।
গল্পকথন:
তার বেশ ক-বছর পর, অফিস শেষে আজিজে যাচ্ছি; হঠাৎ শাহাবাগের মোড়ে সেই পুরোনো ঝিলিক দেখলাম। একাগ্র ঝরনার মত কল-কল রবে, এক মধুর তান ছিটকে পড়ছে তোমার চারপাশে, তুমি আর তোমার বন্ধুরা! একগুচ্ছ ফুল তোমার হাতের শোভা বাড়াচ্ছে। জানিনা, ওগুলো কার আবেগের ডাক-হরকরা। আমি মানিব্যাগ থেকে সেই গোলাপটা বের করে দেখছি, প্রানহীন-খটখটে। তুমি কি আমাকে দেখে ফেললে? না-না, তা কি করে হবে! ওটা যখন ভীষন সজীবতায় উপস্থাপন করেছিলাম তোমার সামনে, তখনি তা তোমার চোখ এড়িয়েছিলো…