
শিরোনামঃ শহরতলীর আকাশ
কথাঃ শেখ রানা
সুরঃ মিশু
কন্ঠঃ মিশু
আবৃতিঃ জিল্লুর রহমান সোহাগ
ব্যান্ডঃ শহরতলী
অ্যালবামঃ এখন,এখানে…
অদ্ভুত এক আঁধার রাত। টিউশনি শেষ করে বাড়ি ফেরার তাড়া। নিয়ম মত রাস্তা, চেনা আকাশ। ধু ধু নির্জন প্রান্তর। একটি মেয়ে। কিংবা একজন মানুষ। একজন মানুষ বনাম একজন পশু। চিৎকার, ধস্তাধস্তি… তারপর, তারপর…সব চুপ।
টর্চ হাতে আলোর মুখ খুঁজে বেড়ায় পিতা। বাড়ির উঠোনে মমতাময়ী মায়ের অপেক্ষার প্রহর। এক গোছা চুল, আর, আর…ঐ তো চেনামুখ, মুহূর্তে অচেনা হয়ে যায়, রক্তাক্ত হত্যাকান্ডে নিথর পরিচয়।
শহরতলীর আকাশ সেদিন রাতে
মেঘের কাছে পত্র পাঠালো না
মন খারাপের সবুজ গাছও তাতে
মুখটা ফুটে কিছুই বললো না
মার্চ মাসের গুমোট আঁধার কথা
রাস্তা ছেড়ে কালভার্টের পাশে
পিতা খোঁজে হারিয়ে যাওয়া সেই মুখ
মায়ের তখন ভীষণ কান্না আসে
চুলের গোছা, রক্ত মাখা দেহ
মেয়ে তোমার জীবন প্রদীপ শেষ
ধর্ষনে আর থেতলে যাওয়া মাথা
উঠলো মাতম, আমার বাংলাদেশ।
হাসিমুখের তুমি আমার বোন
প্রতিবাদের মশাল উঠলো জ্বলে
ছড়িয়ে গেল পথ থেকে প্রান্তর
ঘাতক শুধু বেড়ায় হেসে খেলে
কথা ছিলো তুমি বেঁচে থাকবে
নিয়ম করে গাইবে প্রিয় সুর
অশ্রু দিয়ে লেখা যে গান
সেই গানটাই গেয়েছে বিধুর
এক একটি দীর্ঘ রাত, নিরাপদ সারা দেশ। সন্ত্রস্ত কালভার্ট সাক্ষী, সাক্ষী প্রতিবাদের উত্তাল রাজপথ। চাপান-উতোর চললো তারপর একের পর এক ময়না তদন্ত।
সব চুপ, নিরবতা, নিরবতাই ভালো। মেয়ে তুমি আমার কাছে হাসিমুখের আলো।